#Relief #Amphan #Cyclone #SouthBengal
Some logical advice for people planning to extend their support towards cyclone relief activities in south Bengal for Amphan through unofficial channels.
Writer: Sandeepan Chowdhury
(This Bangla write up is based both on current Amphan scenario and his 2009 experience of Aila relief in chargheri island of satjelia, deep in Sunderbans.
While reports of Amphan devastation are yet to come in from all places, a comparison of severity of storm at Kolkata suggests there has been far greater destruction in Sunderbans by Amphan than during Aila. We will know clearly after communication is restored in remote places.)
*******
১। ভালো করে দক্ষিণ আর উত্তর ২৪ পরগণার ম্যাপ দেখে নিন। সবাই যদি মনে করেন শহরের কাছের গ্রামগুলোতে ত্রাণ দেবেন তাহলে কিছু লাভ হবে না। গতবার এই জিনিস আয়লার সময় হয়েছিল। গদখালি, বাসন্তীর কাছের গ্রামগুলো অনেক সাহায্য পেয়েছিল – দূরের গ্রামগুলো কোন সাহায্য পায় নি।চেষ্টা করুন দূরের গ্রামগুলোতে আগে সাহায্য দিতে।
২। যেখানে ত্রাণ দিতে যাচ্ছেন ভালো করে খোঁজ নিন কোনো NGO সেখানে কাজ করছে কি না – করলে তাদের পদ্ধতি জানার চেষ্টা করুন। যদি যথেষ্ট স্বচ্ছ মনে হয় – তাদের হাতে ত্রাণ তুলে দিন।ত্রাণ দিচ্ছি পোজে ছবি তুলে লাভ নেই। ও সবে আপনার বাড়ির লোকজন ছাড়া কেউ ইম্প্রেসড হবে না – মেয়েরা আজকাল এসবে পটে না।
৩। রিলিফ একটা খুব সাময়িক ব্যবস্থা। তাতে কোন সমাধান হয় না। বড়জোর একমাস রিলিফ চলতে পারে তার বেশী চালালে কিছু সুবিধে হয় না। মানুষকে খেতে দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। বরং চেষ্টা করুন। সেখানকার রেশনিং সিস্টেমের দুর্বলতা সরকারের কাছে উপযুক্ত দপ্তরে পৌঁছে দিতে।আয়লার সময় whatsapp, social media এতো শক্তিশালী ছিল না। সেটা মাথায় রাখুন।কাজে লাগান। (৭ নম্বর পয়েন্টটিও দেখুন)
৪। দক্ষিনবঙ্গে, বিশেষ করে সুন্দরবনে, অনেক জায়গাতেই ত্রাণের জন্য লঞ্চে যেতে হয়। সেটাকে সুন্দরবন ভ্রমণে পরিনত করবেন না। নিজেরা মিনারেল ওয়াটারের বোতল, উজ্জ্বল জামা, প্যান্ট পরে, লঞ্চে রাঁধা মাংস ভাত খেয়ে – লঞ্চ থেকে বিস্কুটের প্যাকেট আর কিছু পুরনো জামাকাপড় ছুঁড়ে দিলেন – আর কাড়া কাড়ি করে লোক নিচ্ছে সেটা ভিডীও করলেন – এই কাজটি করবেন না। এর চেয়ে ত্রাণ দেবেন না।যদি কোন কারণে লঞ্চ নিয়ে কাছে পৌছতে না পারেন, আগে থেকে ছোট নৌকার ব্যবস্থা রাখতে বলুন। এই কারনে টিমে স্থানীয় মানুষ থাকা অত্যন্ত দরকারী।
৫। করোনা কিন্তু গ্রামের দিকে ছড়ায় নি। যদি নিতান্তই মনে করেন ত্রাণ নিয়ে নিজেরা যাবেন, দলে একজন ডাক্তারকে রাখুন – রওনা হবার আগে দেখে নিন কারোর কোন উপসর্গ আছে কি না। “ওই একটু সর্দি মতো লেগেছে – আমার তো বারো মাসই কাশি চলে” - এসব না করে কোন উপসর্গ থাকলে যাবেন না।
৬। নিজে ত্রাণ দিন বা কোন সংস্থার মাধ্যমে ত্রাণ দিন – তাদের বলুন ছবি বা ভিডীও করার সময় মোবাইলের জিপিএস আর ডেট স্টাম্প অন করে ছবি নিন – এতে দেশের নানা প্রান্তে থাকা ডোনরদের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়বে। পারলে প্রতি জায়গাতে ত্রাণ পাচ্ছেন এমন কিছু Random লোকের ফোন নং নিন – যাতে যে কেউ ইচ্ছে করলে ফোন করে যাচাই করতে পারেন। মনে রাখবেন সোস্যাল মিডিয়া crowdfunding এর অসাধারণ মঞ্চ যদি বিশ্বাসযোগ্যতার প্রমাণ (transparency) রাখতে পারেন। আয় এবং ব্যয়ের হিসেব দিতে থাকবেন সময় করে।
৭। করোনার অনেক খারাপের মধ্যে একটা ভালো হল, আমফান আসার আগেই সরকারী গণ খাদ্য সরবরাহ (mass food distribution of Govt) এই সময়ে দূর দূরান্ত অবধি পৌছনোর কথা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য। সেই ব্যবস্থাটির সুবিধে যেখানে নানা কারনে পৌছোচ্ছেনা করোনার পরে, চেষ্টা করবেন সেরকম এলাকাকে প্রাধান্য দিতে। এর জন্য একটু ধৈর্য্য ধরতে হতে পারে। সুন্দরবনের ইন্টারনেট এবং বিদ্যুত সংযোগ ব্যবস্থা এখন বিধ্বস্ত; আস্তে আস্তে সংযোগ পুনর্স্থাপিত হলে True picture টা সামনে আসবে। পারলে সুন্দরবন / দক্ষিনবঙ্গ বিষয়ক সোশাল মিডিয়া গ্রুপগুলিতে জয়েন করে নজর রাখুন। এবং অবশ্যই এসব এলাকার প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন।
Some logical advice for people planning to extend their support towards cyclone relief activities in south Bengal for Amphan through unofficial channels.
Writer: Sandeepan Chowdhury
(This Bangla write up is based both on current Amphan scenario and his 2009 experience of Aila relief in chargheri island of satjelia, deep in Sunderbans.
While reports of Amphan devastation are yet to come in from all places, a comparison of severity of storm at Kolkata suggests there has been far greater destruction in Sunderbans by Amphan than during Aila. We will know clearly after communication is restored in remote places.)
*******
১। ভালো করে দক্ষিণ আর উত্তর ২৪ পরগণার ম্যাপ দেখে নিন। সবাই যদি মনে করেন শহরের কাছের গ্রামগুলোতে ত্রাণ দেবেন তাহলে কিছু লাভ হবে না। গতবার এই জিনিস আয়লার সময় হয়েছিল। গদখালি, বাসন্তীর কাছের গ্রামগুলো অনেক সাহায্য পেয়েছিল – দূরের গ্রামগুলো কোন সাহায্য পায় নি।চেষ্টা করুন দূরের গ্রামগুলোতে আগে সাহায্য দিতে।
২। যেখানে ত্রাণ দিতে যাচ্ছেন ভালো করে খোঁজ নিন কোনো NGO সেখানে কাজ করছে কি না – করলে তাদের পদ্ধতি জানার চেষ্টা করুন। যদি যথেষ্ট স্বচ্ছ মনে হয় – তাদের হাতে ত্রাণ তুলে দিন।ত্রাণ দিচ্ছি পোজে ছবি তুলে লাভ নেই। ও সবে আপনার বাড়ির লোকজন ছাড়া কেউ ইম্প্রেসড হবে না – মেয়েরা আজকাল এসবে পটে না।
৩। রিলিফ একটা খুব সাময়িক ব্যবস্থা। তাতে কোন সমাধান হয় না। বড়জোর একমাস রিলিফ চলতে পারে তার বেশী চালালে কিছু সুবিধে হয় না। মানুষকে খেতে দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। বরং চেষ্টা করুন। সেখানকার রেশনিং সিস্টেমের দুর্বলতা সরকারের কাছে উপযুক্ত দপ্তরে পৌঁছে দিতে।আয়লার সময় whatsapp, social media এতো শক্তিশালী ছিল না। সেটা মাথায় রাখুন।কাজে লাগান। (৭ নম্বর পয়েন্টটিও দেখুন)
৪। দক্ষিনবঙ্গে, বিশেষ করে সুন্দরবনে, অনেক জায়গাতেই ত্রাণের জন্য লঞ্চে যেতে হয়। সেটাকে সুন্দরবন ভ্রমণে পরিনত করবেন না। নিজেরা মিনারেল ওয়াটারের বোতল, উজ্জ্বল জামা, প্যান্ট পরে, লঞ্চে রাঁধা মাংস ভাত খেয়ে – লঞ্চ থেকে বিস্কুটের প্যাকেট আর কিছু পুরনো জামাকাপড় ছুঁড়ে দিলেন – আর কাড়া কাড়ি করে লোক নিচ্ছে সেটা ভিডীও করলেন – এই কাজটি করবেন না। এর চেয়ে ত্রাণ দেবেন না।যদি কোন কারণে লঞ্চ নিয়ে কাছে পৌছতে না পারেন, আগে থেকে ছোট নৌকার ব্যবস্থা রাখতে বলুন। এই কারনে টিমে স্থানীয় মানুষ থাকা অত্যন্ত দরকারী।
৫। করোনা কিন্তু গ্রামের দিকে ছড়ায় নি। যদি নিতান্তই মনে করেন ত্রাণ নিয়ে নিজেরা যাবেন, দলে একজন ডাক্তারকে রাখুন – রওনা হবার আগে দেখে নিন কারোর কোন উপসর্গ আছে কি না। “ওই একটু সর্দি মতো লেগেছে – আমার তো বারো মাসই কাশি চলে” - এসব না করে কোন উপসর্গ থাকলে যাবেন না।
৬। নিজে ত্রাণ দিন বা কোন সংস্থার মাধ্যমে ত্রাণ দিন – তাদের বলুন ছবি বা ভিডীও করার সময় মোবাইলের জিপিএস আর ডেট স্টাম্প অন করে ছবি নিন – এতে দেশের নানা প্রান্তে থাকা ডোনরদের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়বে। পারলে প্রতি জায়গাতে ত্রাণ পাচ্ছেন এমন কিছু Random লোকের ফোন নং নিন – যাতে যে কেউ ইচ্ছে করলে ফোন করে যাচাই করতে পারেন। মনে রাখবেন সোস্যাল মিডিয়া crowdfunding এর অসাধারণ মঞ্চ যদি বিশ্বাসযোগ্যতার প্রমাণ (transparency) রাখতে পারেন। আয় এবং ব্যয়ের হিসেব দিতে থাকবেন সময় করে।
৭। করোনার অনেক খারাপের মধ্যে একটা ভালো হল, আমফান আসার আগেই সরকারী গণ খাদ্য সরবরাহ (mass food distribution of Govt) এই সময়ে দূর দূরান্ত অবধি পৌছনোর কথা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য। সেই ব্যবস্থাটির সুবিধে যেখানে নানা কারনে পৌছোচ্ছেনা করোনার পরে, চেষ্টা করবেন সেরকম এলাকাকে প্রাধান্য দিতে। এর জন্য একটু ধৈর্য্য ধরতে হতে পারে। সুন্দরবনের ইন্টারনেট এবং বিদ্যুত সংযোগ ব্যবস্থা এখন বিধ্বস্ত; আস্তে আস্তে সংযোগ পুনর্স্থাপিত হলে True picture টা সামনে আসবে। পারলে সুন্দরবন / দক্ষিনবঙ্গ বিষয়ক সোশাল মিডিয়া গ্রুপগুলিতে জয়েন করে নজর রাখুন। এবং অবশ্যই এসব এলাকার প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন।